সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধর করে লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী সজু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আহত ভুক্তভোগী আবদুল মমিন হেলাল। শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ভুক্তভোগী জানায়, নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের আদমজীর কদমতলী এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছে সে। অত্র এলাকার সন্ত্রাসী তানজিম কবির সজু প্রায় সময়ই তার কাছে চাঁদার দাবি কওে আসছে। তাদের দাবিকৃত চাঁদাদিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মারধর করে নগদ অর্থ,ল্যাপটপ সহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায় এবং হত্যার হুমকি দেয়।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বুধবার রাতে নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার সন্ত্রাসী তানজিম কবির সজুর সন্ত্রাসী বাহিনী তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর পুর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমার ব্যবহ্নত ল্যাপটপ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা আমাকে দোকান থেকে জোর পুর্বক কদমতলী পুকুর পাড় নিয়ে সজুর নির্দেশে চোখমুখ বেধে লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে বলে আমিনুল হকের চাকরি ছেড়ে না দিলে আমাকে কদমতলী এলাকায় থাকতে দিবেনা এবং আমাকে মেরে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে আমাকে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে ফেলে দিতে চাইলে আমি তাদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাই এবং তারা আমাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয় । পরবর্তীতে আমাকে তুলে নেয়ার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে আমার স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আমাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে । আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তানজিম কবির সজু কে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করিয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এলাকাবাসী জানায়, তানজিম কবির সজু বাহিনীর অত্যাচারে অত্র এলাকায় কেউ শান্তিপুর্ণ ভাবে ব্যাবসা করতে পারছেনা ব্যাবসা করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হবে। সজুর বিরুদ্ধে এর পুর্বেও একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা না নিলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী।