নিজস্ব সংবাদদাতা:
বন্দরে গার্মেন্টসের ভেতরে থিনার খেয়ে চিকিৎসাধীন নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায়
পুলিশের তদন্তে ঘটনার গরমিল মিল থাকায় হাসপাতালে আটকে দেন নিহত রেশমা (২৪)র লাশ।
ময়নাতদন্তের শেষে ৪ দিন পর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে লাশ পেল পরিবার।
গত রোববার সকালে কামতাল গ্রামে অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টে থিনার পানের এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রেশমা। নিহত নারী রেসমা, সাতক্ষীরা সদর কোতয়ালী থানার মুকুমদাপুর গ্রামের আতারুল ইসলামের কন্যা। সে বন্দরের কামতাল গ্রামের হাজী সোহারাব মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নিহত রেশমার বড় বোন সোনালী জানান, রেশমা কামতাল গ্রামে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টে কোয়ালিটি সেকশনে কাজ করতো। গত রোববার সকালে কাপড়ের দাগ পরিস্কারের জন্য মাম পানির বোতলে রাখা ছিলো থিনার। ওই থিনার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে রেশমা। এরপর গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে পৌঁছে গার্মেন্টের ভেতরের ঘটনা এড়িয়ে বাড়িওয়ালার ওপর দায় চাপিয়ে পুলিশের কাছে জবানবন্ধি দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার গড়মিল থাকায় ময়নাতদন্তের শেষে ৪ দিন পর লাশ পেয়ে বুধবার সকালে দাফন করা হয়েছে। বাড়িওয়ালার কোনো দোষ নেই। ঘটনা ঘটেছে গার্মেন্টের ভেতরে।
টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ব্যবস্থাপক কবিরুল ইসলাম জানান, বাড়িওয়ালার ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, থিনার পান করেছে কিনা তা জানি না। গার্মেন্টে ডিউটিতে থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত নয় টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রেশমার মৃত্যু হয়।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এইচ এম মাহমুদ জানান, কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য পানে গার্মেন্ট শ্রমিক রেশমার চিকিৎসাধিন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তার লাশ হাসপাতাল থেকে নিতে ভাড়াটিয়া বাড়িতে থিনার খেয়েছেন এরকম কথা বলা হয়েছে, এ ঘটনায় শাহাবাগ থানায় তার পরিবার জিডি করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থলের গড়মিল থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়েছে।